Geographical Indication Tag(GI)
þ চক-হাও
(Chak-Hao- Black Rice)
ü চক-হাও কালো
চাল (Chak-Hao- Black Rice) বহু শতাব্দী ধরে মণিপুরে এটির চাষ করা হয়। এটি একটি আঠালো ধান। এর বিশেষ গন্ধ চিহ্নিত করে
যে এটিই “চক-হাও” চাল। প্রধানত ভাত, খির বা পায়েসের মতো রান্নার জন্য এটি প্রসিদ্ধ।
ü এটি একটি গভীর কালো বর্ণের চাল, কিন্তু রান্না করার পর
এটি সাধারণত বেগুনি বর্ণের হয়ে যায়। এটিতে অ্যান্থসায়ানিন(anthocyanin) থাকার জন্য এটি মুলত
গাড় বেগুনি রঙের হয়, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের(antioxidants) স্তরকে বাড়িয়ে তোলে,
এছাড়াও এটির মধ্যে ভিটামিন, খনিজ লবন, ফাইবার, প্রোটিন ইত্যাদি রয়েছে।
ü এটি অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় কিছুটা ভারী। এটি ঐতিহ্যবাহী মেডিসিন হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এটির উচ্চতর ক্রুড ফাইবারের কারণে রান্নার
জন্য 40-45 মিনিট দীর্ঘ সময় নেয়।
ü স্বাস্থ্য উপকারিতা
হিসেবে বলা যায় এটি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, বাত, অ্যালার্জি, বার্ধক্যজনিত লক্ষণ, এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধক হিসেবে
এটি ব্যবহার করা হয়।
þ গোরক্ষপুরের
পোড়ামাটি (Gorakhpur terracotta)
ü এটি
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের পোড়ামাটির শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিল্প। অলঙ্কার এবং প্রাকৃতিক রঙ সহ খালি হাতে কাজটি করা হয়,
যা দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকে। স্থানীয় কারিগরদের নকশাকৃত এক হাজারেরও বেশি প্রকারের
পোড়ামাটির এই ধরনের কাজ রয়েছে।
ü অপরুপ সৌন্দর্য ও নিখুত কারুশিল্পের কয়েকটি বড় পণ্য
হ'ল- হুদা হাতি, মহাওয়াতদার ঘোড়া যা খুবই প্রসিদ্ধ।
þ কোভিলপট্টি
কদলই মিঠাই (Kovilpatti Kadalai Mittai)
ü এটি তামিলনাড়ুর দক্ষিণে থুথুকুডি জেলার কোভিলপট্টি সংলগ্ন
শহর ও গ্রামে উত্পাদিত একটি চিনাবাদাম ক্যান্ডি। এটি চিনাবাদাম এবং ভেল্লাম (গুড়)
এবং থামিরাবরণী (Thamirabarani) নদীর জল ব্যবহার করে উৎপাদিত হয় যা স্বাদটিকে প্রাকৃতিকভাবে
বাড়িয়ে তোলে। এটিকে একটি আয়তক্ষেত্রাকার অংশ হিসাবে বিক্রি হয়, বা
প্যাকেটে সিলযুক্ত করেও বিক্রি করা হয়।
ü কয়েক দশক ধরে, কোভিলপট্টির কদলই মিতাই ঐতিহ্যগতভাবে নিকটবর্তী
জেলাগুলির খেজুর গুড় এবং চিনাবাদাম ব্যবহার করে গ্রামে উৎসব চলাকালীন প্রস্তুত করা
হত। কিন্তু
তারপর ১৯৪০-এর দশকের দিকে, কদলই মিঠাই তৈরি করার জন্য খেজুর গুড় এর পরিবর্তে আখের
গুড় ও চিনাবাদাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
þ কাশ্মীরি
জাফরান (Kashmir Saffron)
ü জম্মু ও কাশ্মীরের কারেওয়া উচ্চভূমিতে এই জাফরান চাষ
ও উৎপাদন হয়। সম্প্রতি এই কাশ্মীরের জাফরানকে ভৌগোলিক সূচক রেজিস্ট্রি দ্বারা জিওগ্রাফিক্যাল
ইন্ডিকেসন (জিআই) ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। এটি কাশ্মীরের পুলওয়ামা,
বুদগাম, কিস্ত্বার ও শ্রীনগর সহ কয়েকটি অঞ্চলে জন্মে।
ü জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষি অধিদপ্তর দ্বারা জিওগ্রাফিক্যাল
ইন্ডিকেসন (জিআই) ট্যাগ এর জন্য আবেদন করা হয়েছিল, এবং শেরই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কাশ্মীরের এবং স্যাফ্রন গবেষণা কেন্দ্র, দুসু (পাম্পোর)
দ্বারা সহায়তা করা হয়েছিল।
ü এটি বিশ্বের একমাত্র জাফরান যা 1,600 মিটার থেকে
1,800 মিটার উচ্চতা (সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উপরে) তে জন্মে, তাই বিশ্বজুড়ে উপলব্ধ অন্যান্য
জাফরানের থেকে এটি পৃথক। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর প্রায় মধ্য এশিয়ান অভিবাসীরা
কাশ্মীরে জাফরান চাষের প্রচলন করেছিলেন বলে মনে করা হয়। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে
জাফরানকে 'বাহুকাম' বলে উল্লেখ করা হয়।
§ কাশ্মীরে যে জাফরান
পাওয়া যায় তা তিন প্রকারের –
F 'লাচ্ছা জাফরান'— জাফরান গুলিকে
ফুল থেকে আলাদা করে এবং প্রক্রিয়াজাত না করে শুধুমাত্র শুকানো হয়।
F 'মংরা জাফরান'—জাফরান গুলিকে
ফুল থেকে আলাদা করা হয় এবং রোদে শুকানো হয়।
F 'গুচি জাফরান'-- শুকনো জাফরান এয়ার-টাইট পাত্রে আলগাভাবে প্যাক করা
হয়।
No comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in this comment box.